বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে ভিসা প্রোসেসিং এর প্রক্রিয়া
থাইল্যান্ড ভিসা অফিস বাংলাদেশ । প্রাকৃতিক রূপলাবণ্যের ও আধুনিকতায় শীর্ষে থাকা থাইল্যান্ডে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যা আগত দর্শনার্থীদের ব্যাপক আনন্দ দেয়। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতকালের তিনটি ঋতুতে সারা বছর পার হয়ে যায়। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ দেশের সমুদ্রসৈকত, ভূদৃশ্য তদুপরি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসংবলিত থাইল্যান্ড বিশ্বের পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ঢাকাতে থাই দূতাবাসের হয়ে ভিসা আবেদন জমা নেয় । ওদের বর্তমান অফিস গুলশান বিএনপি কার্যালয়ের কাছে। বিস্তারিত তথ্য এখান থেকে জেনে নিন thailand visa processing ।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমান মানুষ থাইল্যান্ড ভ্রমনে যান। ব্যবসা, চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের কাছে থাইল্যান্ড একটি আকর্ষণীয় দেশ । থাইল্যান্ডের দক্ষিনে মালেশিয়া, পশ্চিম-উত্তরে মায়ানমার, উত্তর-পুর্ব দিকে লাউস এবং দক্ষিন-পশ্চিমে কম্বোডিয়া।
ভিসা আবেদন প্রোসেস সংক্রান্ত:
যোগাযোগ করুন আমাদের ভিসা সহায়ক ব্যবাস্হাপক এর সাথে
মোবাইল:(+88) 01978569293)(01687569293)
ওয়েবসাইট:http://visa.zoo.family
ই-মেইল: visa@zoo.Family
অনলাইনে আবেদন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আমাদের ভিসা সহায়তায় কিভাবে ই-ভিসা করবেন?
- আমাদের ভিসা সহায়তায় অনলাইনে আবেদন করুন যার সাথে আছে এয়ার টিকেট বুকিং, হটেল বুকিং,ফটো ইডিটিং সার্ভিসেস
- আমরা আপনাদের মূল্যবান সময় কে সেভ করার জন্য ই-মেইলের মাধ্যমে কাগজ-পত্র নিয়ে থাকি। এম্মাসিতে যাওয়ার দরকার নাই।
- ভিসা প্রোসেসিং ফি: ২০ইউ এস (৪৮০০/-বি ডি টি)
- টাকা পরিশোধ করার পর সত্যায়িত কাগজ পত্র আমদের মেইলে পাঠাবেন (visa@zoo.family)
- আমাদের ভিসা সহায়ক ব্যবাস্হাপক এর সাথে যোগাযোগ করুন মোবাইল:(+88) 01978569293)
আমাদের ভিসা প্রসেসিং ফি ৪৮০০ টাকা (অর্থ প্রদানের জন্য এখানে ক্লিক করুন)
টাকা পরিশোধ করার আগে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ই-মেইল দিয়ে অথবা ফোন করুন +৮৮০১৯৭৮৫৬৯২৯৩,+৮৮০১৬৭৮৫৬৯২৯৩ এয়ারওয়েজ অফিস কেবলমাত্র আপনার দস্তাবেজগুলির বা কাগজপত্রের সাথে ভিসা সরবরাহ করে। ভিসা মঞ্জুরি হল সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেটের স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত।
থাইল্যান্ডের ভিসা কিভাবে পাবেন?
থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে রয়্যাল থাই এমব্যাসিতে । সাধারণত তারা ১ মাসের জন্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা দেয় । তবে প্রয়োজন বশত তারা ৬ মাস বা ১বছরের ভিসা দিয়ে থাকে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
ডাউনলোড থাই ভিসা ফরম
ভিসার চেকলিস্ট আপনি ভিএফএস গ্লোবাল এর ওয়েবসাইট এ পাবেন।
- ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম পুরন করা এবং সই করা।
- সাত (07) মাসের বৈধ পাসপোর্টের সাথে শেষ দুটি পুরানো পাসপোর্ট থাকলে। (যদি একটি পুরানো পাসপোর্ট হারিয়ে যায় তবে একটি অনুবাদিত নোটারি সহ একটি জিডি কপি আবশ্যক)।
- পাসপোর্টের বায়ো পেজের ফটোকপি, সাথে যদি আগের থাই ভিসা থাকে তার ফটোকপি।
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ( ৩৫×৪৫ মি.মি) (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)
- ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট। ব্যাংক এ মিনিমাম ৬০ হাজার থাকতে হবে, ফ্যামিলি হলে ১ লাখ ২০ হাজার। এইটা অফিশিয়াল রিকোয়ারমেন্ট , তবে এর বেশি রাখা ভাল। আর একাউন্টে রেগুলার ট্রানজেকশন থাকা ভাল।
- ভিসা কভার লেটার কোম্পানি প্যাডে প্রিন্ট করতে হবে যদি ব্যাবসা দেখান ( দেশে কি কাজ করেন এবং কেন ঘুরতে যেতে চান)
- ট্র্যাভেল আইটিনারি ( কোথায় থাকবেন, কি কি দেখবেন এসবের বর্ণনা)
- বিমান টিকেট বুকিং কপি
- চাকরি করলে লিভ লেটার আর ব্যবসা বা সেলফ এমপ্লয়েড হলে ট্রেড লাইসেন্স বা জয়েন্ট স্টক রেজিস্ট্রেশন এর ট্রান্সলেট নোটারাইজড কপি সাথে অরিজিনাল এর ফটোকপি।
- ভিজিটিং কার্ড।
- ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি।
পেশা যদি স্টুডেন্ট হয় তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লিভ লেটার দিতে হবে আর অভিভাবকের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সলভেন্সি সার্টিফিকেট দিতে হবে। সাথে আপনার অভিভাবক আপনার ট্যুরের খরচ দিচ্ছে এমন একটা লেটার দিতে হবে। সাথে অভিভাবকের ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিতে হবে।
ভিসা ফি:
সিঙ্গেল এন্ট্রি টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রত্যেককে সর্বমোট ৪৮০০/- টাকা করে জমা দিতে হয়। আপনি কয়টি এপ্লিকেশন জমা দিচ্ছেন সেটা হিসাব করে ভাংতি টাকা নিয়ে যাবেন – ওখানে একটা কাগজ সেটে দিবে যেখানে লেখা থাকে যে ওরা কোন ভাংতি টাকা ফেরত দিবেনা! রবি থেকে বৃহস্পতি ৮:৩০ টা থেকে ১১:০০ টার ভেতর ওদের ওখানে ঢুকে পড়তে হবে। অন্যের পাসপোর্ট ও আপনি জমা দিতে পারবেন – শুধু তার কাছ থেকে একটা অথরাইজেশন লেটার নিতে হবে আর আপনার আইডিটা সাথে রাখবেন।কাগজপত্র নিরীক্ষণের পর, টাকা জমা দিতে হবে(এক তলায়), এরপর সেই টাকার রিসিপ্ট নিয়ে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে(দোতলায়)। ওটা পাসপোর্ট ফেরত নেওয়ার সময় দেখাতে হবে। ওখানে সবাই বেশ সাহায্য করে – সব কাগজ ঠিকমত নিয়ে গেলে সহজেই জমা দিতে পারবেন। এরপর সাধারণত তিন কার্যদিবস পরে আপনার পাসপোর্টটি ফেরত পেয়ে যাবেন। ফর্ম জমা দেওয়ার দু-একদিন পর আপনাকে থাই দূতাবাস থেকে ফোন দিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্ন করতে পারে। সুতরাং কদিন ফোনের দিকে চোখ রাখবেন।
ভিসা জমা দেবার সময়ঃ
প্রতি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৮:৩০ টা থেকে ১১:০০ টা পর্যন্ত ভিসার আবেদন পত্র জমা নেয়া হয়। ডিপ্লোমেটিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা সকাল ৮:৩০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভিসার আবেদন জমা দিতে পারবেন। পাসপোর্ট তোলার সময় বিকেলে ১:৩০ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত। ভিসার আবেদন জমা দেবার স্থানঃ হাউজ নং- ০৩, রোড#৮৮, গুলশান-২, ঢাকা। চেম্বার হাউজ, ফোরথ ফ্লোর, আগ্রাবাদ সি/এ, চট্টগ্রাম – ৪১০০। নির্ভানা ইন, সেভেনথ ফ্লোর, মির্জা জঙ্গল রোড, রামের দিঘীর পার, সিলেট – ৩১০০।
ভিসার আবেদন জমা দেবার স্থানঃ
হাউজ নং- ০৩, রোড#৮৮, গুলশান-২, ঢাকা। চেম্বার হাউজ, ফোরথ ফ্লোর, আগ্রাবাদ সি/এ, চট্টগ্রাম – ৪১০০। নির্ভানা ইন, সেভেনথ ফ্লোর, মির্জা জঙ্গল রোড, রামের দিঘীর পার, সিলেট – ৩১০০।
থাই দুতাবাসের ঠিকানাঃ
১৮-২০ মাদানী রোড, বারিধারা, ঢাকা-১২১২। ফোনঃ ৮৮১২৭৯৫-৬, ৮৮১৩২৬০-১, ফ্যাক্সঃ-৮৮৫৪২৮০/৮৮৫৩৯৯৮
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দুতাবাসের ঠিকানাঃ
বাড়ি# ৭২৭, থংগলোর, সই-৫৫, সুলতুম্ভিট রোড, ব্যাংকক-১০১১০, থাইল্যান্ড। ফোনঃ- ৩৯২৯৩৭-৮, ফ্যাক্সঃ-৩৯১৮০৭০
ঢাকা টু থাইল্যান্ড বিমান ভাড়া:
থমত থাইল্যান্ডের টিকেট খরচ নির্ভর করে আপনি কোন বিমানে করে যেতে চান । বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে শুরু করে বিদেশী অনেক এয়ারলাইন্স রয়েছে । ১৪,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০,০০০ টাকার উপরে টিকেটর দাম রয়েছে ।
সবচেয়ে ভালো হবে আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে এয়ারলাইন্স সিলেক্ট করুন এবং বিভিন্ন অফারের দিকে খেয়াল রাখুন । তবে ২-৩ মাস আগে টিকেট কেটে রাখলে দাম কিছুটা কম পাওয়া যায় ।থাইল্যান্ড ভিসা অফিস বাংলাদেশ। টিকে্ট এর জন্য এখানে ক্লিক করুন। https://airwaysoffice.com/
থাইল্যান্ডে হোটেল ভাড়া:
থাইল্যান্ডে বিভিন্ন মানের হোটেল পাওয়া যায়। ১০০০ টাকায়ও হোটেল পাওয়া যায় । তবে সবচেয়ে ভালো হবে, যদি এই ঠিকানায় যোগাযোগ করেন ভালো করে বলে দিতে পারবে।
এছাড়াও অনলাইনে এয়ারওয়েজ অফিস এর ওয়েবসাইট আছে চাইলে হোটেল ভাড়া জানতে পারবেন এবং বাংলাদেশের অনেক পর্যটন প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অল্প খরচে রিসোর্ট-হোটেল ভাড়া করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে ।
থাইল্যান্ডের দর্শনীয় স্থানঃ
থাইল্যান্ডে আসলে দেখার মত অনেক জায়গা আছে । সে জন্য হাতে একটু লম্বা সময় নিয়ে যাওয়া ভাল । কারণ সেখানে আপনি যা দেখবেন তাই ভাল লাগবে। তারপর ও কিছু উল্লেখযোগ্য যা না দেখলে নয়ঃ-
- ফাতায়া বীচ,
- ওয়াকিং স্ট্রীট এ রাতের পার্টি ও বিভিন্ন ধরনের শো (বিশেষ করে সমুদ্রের লেজার শো)
- কোরাল আইসল্যান্ড,
- ফ্লোটিং মার্কেট,
- টাইগার ট্যাম্পল,
- সাফারী পার্ক, পুকেট,
- চিয়াং মাই ,
- চেং রাই,
- ব্যাংকক এর শপিং মল (MVK shopping Mall, Platinum 1 & 2, indira Centre)
- পাতায়া
যেকোনো দেশের এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, হেলিকপ্টার সার্ভিস, টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এবং প্যাকেজ ট্যুর করে থাকি। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নিচের ঠিকানায়।
zooFamily (community of aviation & travel)