বাংলাদেশের বিমানবন্দর | বাংলাদেশী বিমানবন্দরের বিবরণ
বাংলাদেশে মোট ১৫টি বিমানবন্দর রয়েছে। বাংলাদেশের তিনটি বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট প্রদান করে, বাকি বারোটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট প্রদান করে। তাছাড়া বাংলাদেশে দুই ধরনের বিমানবন্দর রয়েছে। এইগুলো :
১) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
২) অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর:
একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের জন্য প্রবেশ ও প্রস্থানের একটি কেন্দ্রবিন্দু যেখানে কাস্টমস, অভিবাসন, জনস্বাস্থ্য, প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথকীকরণ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এই বিমানবন্দরগুলি আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (ICAO)নিয়মাবলী মেনে চলে।
বিমানবন্দরগুলি হল:
- প্রথমত, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা
- দ্বিতীয়ত, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম
- তৃতীয়ত, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট
১) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা (HSIA):
এটি দেশের বৃহত্তম এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি ঢাকায় অবস্থিত, যা বাংলাদেশের রাজধানী শহর। HSIA হল যেখানে প্রায় সমস্ত আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী গমন এবং প্রস্থান করে। এটি CAAB এর ৯০% এরও বেশি বৈমানিক দায়িত্বের জন্য দায়ী।
HSIA এর সাধারণ তথ্য
- ICAO ID: VGHS
- IATA CODE: DAC
- Latitude: 05N
- Longitude: 02E
- TWR FREQ: 3 MHz, 119.3 MHz
- ACC FREQ: 7 MHz, 129.7 MHz
- DVOR: 7 MHz
- NDB: 298 kHz
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুবিধা:
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তাদের ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে। যেমন:
- বহুতল গাড়ি পার্কিংয়ের পাশাপাশি খোলা গাড়ি পার্কিং সুবিধা
- প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ
- ফ্রি লাগেজ ট্রলি
- শারীরিকভাবে অক্ষম যাত্রীদের জন্য হুইলচেয়ার সুবিধা
- দর্শনার্থীদের সুবিধা
- ব্যাংকিং সিস্টেম
- শুল্কমুক্ত দোকান
- হোটেল বুকিং সিস্টেম
- ওয়াইফাই
- ফ্লাইট ইনফরমেশন ডিসপ্লে সিস্টেম
- কার্গো সেবা
২) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম (SAIA):
এই বিমানবন্দরটি চট্টগ্রামে অবস্থিত যা একটি বন্দর শহর। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর এবং HSIA-এর ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করে।
SAIA এর সাধারণ তথ্য
- ICAO ID: VGEG
- IATA CODE: CGP
- Latitude: 221525.28N
- Longitude: 95E
- TWR FREQ: 4 MHz, 119.4 MHz
- VOR: 113.4 MHz
- NDB: 287 Khz
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুবিধা:
- পার্কিং: যেকোন যাত্রী বহনকারী গাড়ি ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত SAIA তে পার্ক করা যেতে পারে।
- ব্যাংকিং পরিষেবা: টার্মিনাল বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় পরিষেবা প্রদান করে।
- হোটেল রিজার্ভেশন: শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তার অতিথিদের হোটেলে থাকার সুবিধা প্রদান করে থাকে। তাছাড়া এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ থেকে যে কেউ হোটেল রিজার্ভ করতে পারে।
- নিরাপত্তা: নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে বিপুল সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, পাশাপাশি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা উপস্থিত রয়েছে।
- FIDS এবং লাগেজ মোড়ানো: বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি ফ্লাইট ইনফরমেশন ডিসপ্লে সিস্টেম (FIDS) এবং লাগেজ মোড়ানো পরিষেবাও প্রদান করে।
৩) ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট (OIA):
এটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত একটি জেলা সিলেট শহরে অবস্থিত। এই অঞ্চলের জনসংখ্যাকে আরও ভালভাবে পরিবেশন করার জন্য এটিকে একটি আন্তর্জাতিক রূপে সংস্কার করা হয়েছে, যা বিপুল সংখ্যক ব্রিটিশ বাসিন্দা থাকার জন্য পরিচিত।
OIA এর সাধারণ তথ্য
- ICAO ID: VGSY
- IATA CODE: ZYL
- Latitude: 245740.83N
- Longitude: 0915217.89E
- TWR FREQ: 122.9 MHz, 122.5 MHz
- VOR: 116.4 MHz
- NDB: 372 kHz
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুবিধা:
- গাড়ি পার্কিং সুবিধা
- লাগেজ ট্রলি
- হুইলচেয়ার সুবিধা
- প্রাথমিক চিকিৎসা
- ওয়াইফাই
- ব্যাংকিং সিস্টেম
- কার্গো সার্ভিস
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর:
“অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর” শব্দটি দ্বারা এমন একটি বিমানবন্দরকে বোঝায় যেটি শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ বা আন্তঃ-বাংলাদেশ ফ্লাইট পরিচালনা করে। তাছাড়া বাংলাদেশে মোট ১২টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে। তবে এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি বিমানবন্দরই পুরোপুরি চালু রয়েছে। তিনটি বিমানবন্দর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে, বাকি বিমানবন্দরগুলো কোনো পরিষেবা দেয় না।
বাংলাদেশে চালু অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর:
বাংলাদেশে বর্তমানে পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর পরিচালনা করছে। তাছাড়া এসব বিমানবন্দর থেকে যাত্রীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারে। তারা হল:
- প্রথমত, কক্সবাজার বিমানবন্দর
- দ্বিতীয়ত, শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহী
- তৃতীয়ত, যশোর বিমানবন্দর
- চতুর্থত, সৈয়দপুর বিমানবন্দর
- সবশেষে, বরিশাল বিমানবন্দর
ডোমেস্টিক এয়ার অপারেশনের জন্য পূর্ব অনুমোদন প্রয়োজন:
এই তিনটি বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং সজ্জিত। তবে এগুলো অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে। তারা হল:
প্রথমে, তেজগাঁও বিমানবন্দর
দ্বিতীয়ত, বগুড়া বিমানবন্দর
তৃতীয়ত, শমশেরনগর বিমানবন্দর (STOL)
অ-কার্যকর বিমানবন্দর:
তিনটি বিমানবন্দর চালু থাকলেও কোনোটিই কোনো সেবা দেয় না। বিমানবন্দরের তালিকা নীচে দেওয়া হল:
প্রথমে ইশুরদী বিমানবন্দর
দ্বিতীয়ত, কুমিল্লা বিমানবন্দর (STOL)
তৃতীয়ত, ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর।
নির্মাণাধীন বিমানবন্দর:
বাগেরহাটের খান জাহান আলী বিমানবন্দরটি বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি যা এখনও উন্নয়নাধীন। তবে, অল্প সময়ের মধ্যে এটি একটি কার্যকরী বিমান অপারেশনের ছাড়পত্র পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Related Post: Airways Office | zooholiday | Travel News BD | zooIT | zooFamily