এয়ার ফ্রান্স সম্পর্কিত তথ্য এবং ঢাকা, বাংলাদেশ বিক্রয় অফিসের ঠিকানা

2083

ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা এয়ার ফ্রান্স ৭ অক্টোবর ১৯৩৩ সালে গঠিত হয়।এটি বর্তমানে এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং স্কাইটাইম এর বিশ্বব্যাপী বিমানবাহী সহযোগী সংস্থা হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে।ফ্রান্সের প্যারিস-চার্লস ডি গল বিমানবন্দর  এটির মূল কেন্দ্রস্থল। এয়ার ফ্রান্স আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া, ইউরোপ ও ওশেনিয়া,ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর গুলো সহ ২৭২ টি স্থানে যাত্রী পরিবহন করে।১৯১৯ সালে অক্টোবর এর দিকে KLM (Koninklijke Luchtvaart Maatschappij এনভি) নামক ডাচ এয়ারলাইনস নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা হিসাবে গঠিত এবং ২০০০ সালের দিকে এই বিমান সংস্থা টি ১৩৩ টি আলাদা আলাদা স্থানে যাত্রী পরিবন সেবা চালু করে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে।পরবর্তিতে ২০০৪ সালের মে মাসে এয়ার ফ্রান্স এবং ডাচ এয়ারলাইনস  একত্রিত হয়ে পর কেএলএম এয়ার ফ্রান্স সংস্থা টি গঠন করে।

২০০৪ সালে এয়ার ফ্রান্স এবং কেএলএম এর মধ্যে একত্রীকরণের প্রতিক্রিয়া জন্য কিছু দিন পর উক্ত সংস্থা টি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয় এবং বৃহত্তম ইউরোপীয় বিমান হিসাবে গড়ে উঠে।উক্ত বিমান সংস্থা টির কেন্দ্রস্থল প্যারিস এর চার্লস ডি গললে এবং আমস্টারডাম-শিপোল থাকে পরিচালিত ৫৯৩ টি বিমানের দ্বারা ইউরোপকে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত তথা ১১৩ টি আলাদা জাতি গোষ্ঠীর মানুষের সাথে সংযুক্ত করেছে।এর ফলশ্রুতিতে একটি বিশাল আঙ্কের পর্যটকের আগমন ঘটে ইউরোপে যা এর অর্থনীতিকে সবল করেছে। একটি পরিসংখ্যান থেকে জনা যায় ২০০৪ সালে এয়ার ফ্রান্স ও কেএলএম একত্রিত হবার পর থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৭ কোটি ৫৬ লক্ষ্য যাত্রী পরিবহন করে।

বাংলাদেশের বাজারে এয়ার ফ্রান্স বিমানের টিকিট বিক্রি করে অনেক ট্র্যাভেল এজেন্ট রয়েছে। তবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনুমোদিত বিক্রয় এজেন্টগুলির একটি এয়ারওয়েজ অফিস বা জু ইনফোটেক (বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় ট্র্যাভেল এজেন্ট) যারা বিমান শিল্প ও ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি গত দিক নিয়ে কাজ করে। সর্বোচ্চ সস্তা মূল্যে বিমানের টিকেট এবং অন্যান্য পরিষেবা পেতে যোগাযোগ করুন।

এয়ারওয়েজ অফিস
রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,
হ্যাপি আর্কেড শপিং মল,
ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।
মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯৪– ৯৫-৯৬
সকাল ১০.৩০ টা থেকে রাত ৮.৩০টা পর্যন্ত(সপ্তাহে ৭ দিন খোলা)

এয়ারওয়েজ অফিসের গুগল ম্যাপ লোকেশন –

 

এয়ারওয়েজ অফিসের ফেসবুক পেজ –

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিমান সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানার উপায়:

যাত্রীদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিমান সম্পর্কিত তথ্য জানার প্রক্রিয়াকে বলে অনলাইন চেক-ইন। এটি এমন প্রক্রিয়া যেখানে যাত্রীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের ফ্লাইটে উপস্তিথির তথ্য নিশ্চিত এবং তাদের নিজস্ব বোর্ডিং পাসগুলি মুদ্রণ করতে পারেন।ক্যারিয়ার এবং নির্দিষ্ট ফ্লাইটের ধরনের উপর নির্ভর করে যাত্রীরা তাদের পছন্দের খাবার এবং খাবারের বিকল্প ও মালপত্রের পরিমাণের তথ্য নিশ্চিত করতে পারেন । তাছাড়া যাত্রীরা উক্ত পক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের পছন্দের আসন পূর্বেই নির্বাচন করতে পারে।
#অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট এর ক্ষেত্রে প্রস্থানের নির্ধারিত সময় থেকে  ১ কিংবা ১ঃ৩০ ঘন্টা আগে চেক-ইন করতে হয়।
#যাত্রীরা তাদের ই-বোর্ডিং পাস চেক ইন এর জন্য মোবাইল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন।
# যে সকল যাত্রী অনলাইনে চেক ইন করবে তাদের নিজ উদ্যোগে তাদের বোর্ডিং পাস মুদ্রণ এবং তাদের বিমানবন্দর থেকে বোর্ডিং পাসের জন্য একটি ভাউচার বাধ্যতামূলক গ্রহন করতে হবে

রিজার্ভেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যঃ

ফ্লাইটে উঠার আগে অবশ্যই আপনার বিমানের টিকিটটি পরীক্ষা করুন এবং ভালভাবে নিশ্চিত হন। আপনি যদি আপনার রিজার্ভেশন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দেখতে চান তাহলে রিজার্ভেশন থেকে, আপনার রিজার্ভেশন রেফারেন্স বা পিএনআর নাম্বার টি এবং আপনার নামের শেষ অংশটি লিখুন।উক্ত তথ্য গুলো লিখার পর রিজার্ভেশন থেকে আপনি আপনার সকল তথ্য জমা দেখতে পারবেন।
আপনি ফ্লাইট পরিবর্তন করতে চাইলে আপনার বুকিং রেফারেন্স নাম্বার এবং আপনার নামের শেষ অংশটি লিখুন। এরপর আপনার বুকমার্ক এ আপনার নামের অংশটুকু একইরকম কিনা সেটা নিশ্চিত করুন।

এয়ার ফ্রান্স ঢাকা অফিসের ঠিকানা বা ফোন নাম্বারে সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা / অভিযোগ নীচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।