শুকদেবের আশ্রম

2093

গোপালগঞ্জের সদর উপজেলাধীন তেঘরিয়া মৌজায় বৈরাগীর খালপাড় ছুঁয়ে শুকদেবের আশ্রমটি অবস্থিত। আশ্রমটি আনুমানিক ১৮০২ সালে চন্দ্রগোঁসাই নামে এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠা করেন। মূল উদ্দেশ্য অনাথদের আশ্রয়সহ সেবা প্রদান। পরবর্তীতে শুকদেব আশ্রমের দায়িত্বভার বহন করেন এবং সংসার ত্যাগী শুকদেব ঠাকুর ভগবানের কৃপায় আরাধনার মাধ্যমে অনেক বধির, বিকলাঙ্গ, বিভিন্ন ধরনের অসুস্থ মানুষের আরোগ্য লাভে সক্ষম হয়। বর্তমানে উক্ত আশ্রমে ডাঃ মিহির ঠাকুর এর তত্বাবধানে একটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয় চালু আছে। নয়নাভিরাম গাছ-গাছালি আর পাখ-পাখালির ছায়াঘেরা পরিবেশ অনেক হিন্দু ভক্তকে আকৃষ্ট করে। এছাড়াও দীর্ঘদিনের জটিল ব্যাধির চিকিৎসার জন্য সকল ধরণের মানুষ ছুটে যায় শুকদেব এর আশ্রমে।সদর উপজেলাধীন তেঘরিয়া মৌজায় বৈরাগীর খালপাড় ছুঁয়ে শুকদেবের আশ্রমটি অবস্থিত।

ইতিহাস থেকে জানাযায় যে বেদজ্ঞ ঋষি – মহর্ষি ব্যাসদেবের পুত্র শুকদেব। ব্যাসদেব তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব বর দিয়েছিলেন যে, ব্যাসদেব অগ্নি বায়ু জল ভূমি ও আকাশের ন্যায় পবিত্র পুত্র লাভ করবেন,সেখান থেকে শুকদেবের জন্ম হয়। শুকদেব বৃহ্রপতি ও পিতার কাছে নানাবিধ শাস্ত্র অধ্যয়ন করে মিথিলায় জনক রাজার কাছে গিয়ে মোক্ষ বিষয়ক অনেক উপদেশ নেন। এরপর শুকদেব পিতার নিকট এসে পিতার চার শিষ্য সুমন্ত্র বৈশম্পায়ন জৈমিনি ও পৈলের সঙ্গে বেদাধ্যয়ন করেন। শিক্ষা সমাপ্ত হলে, শুকদেব দেবর্ষি নারদের কাছে ইহলোকের হিতকর কর্তব্য সম্পর্কে অনেক উপদেশ নেন।

যেভাবে যাবেনঃ-

গোপালগঞ্জের সদর উপজেলাতে এই আশ্রমটি অবস্থিত হওয়ায় খুব সহজেই গোপালগঞ্জ সদর থেকে রিক্সা করে শুকদেব আশ্রমে পৌঁছানো যায়।