শকুনি লেক

1149

মাদারীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম শকুনি লেক। শহরের মাঝখানে বিশাল । এলাকাজুড়ে লেকের অবস্থান। কৃত্রিম এ লেকটি যে কোন দেশ- বিদেশি পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষন করে । নরায়নের প্রয়োজনে এক সময় খনন করে এই  লেক তৈরি করা হয়। বর্তমানে এর চার পাশের সৌন্দর্য দেখলে সবার মন কাড়ে। লেকের চার পাশে সারি সারি নারিকেল গাছ ও বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ রয়েছে। যা এর সৌন্দর্য পিপাসু অনেকই দুর-দুনন্ত থেকে এসে প্রতিদিন এই লেকের পাড়ে  আড্ডা জমান। সকাল বেলার নির্মল হাওয়া আর বিকেলের হাজার মানুষের পদচারনায় লেকের পাড় হয়ে ওঠে মোহনীয়। শিশু-কিশোর থেকে শুরূ কওে বিভিন্ন বয়সী মানুষের ডল নামে শকুনি লেকে।

এ লেকের সুনাম সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বর্তমানে এটি দেখার জন্য জেলার বাইওে থেকেও লোকজন আসছে। কৃত্রিমভাবে  এই লেক সৃস্টি করা হলেও সময়ের ব্যবধানে নিজে নিজেই সেখানে সেখানে ফুটে উঠছে প্রাকৃতিক চিত্র। মাদারীপুর শহরের মাঝামাঝি শকুনি নামক এলাকায় ২০ একর জমির ওপর চল্লিশ দশকের দিকে লেকটি খনন করা হয়। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় যখন মাদারীপুর শহরের অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে তখনই ঐতিহাসিক এ শহরকে তৃতীয়বারেরমতো রক্ষা করার লক্ষ্যে ১৯৪৩সালে খনন করা হয়। চল্লিশের দশকের এ অঞ্চলে মাটিকাটা শ্রমিকের  অভাব থাকায় ২০ একর আয়তনের এই লেক খনন করার জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ প্রসাশন ভারতের বিহার ও উড়িষ্যা অঞ্চল থেকে ২ হাজার শ্রমিক ভাড়া করে আনে। বিপুল সংখ্যক বিদেশী শ্রমিক  এক নাগাওে কাজ করে প্রায় ৯মাসে  এর খনন কাজ সম্পু্ন্ন করে। এখনো এটি এ অঞ্চলের দীর্ঘতম লেক হিসেবে পরিচিত। বহিরাগত যে কেউ  মাদারীপুর শহরে প্রথম প্রবেশ করেই  এই লেকের মনোরম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। প্রচন্ড তাপদাহে দূর- দূরান্ত থেকে এসে অনেকেই গা জুড়িয়ে নেন রেকে স্বচ্ছজলে। শীতের বিকেলেও দর্শনার্থীদেও প্রচুর ভিড় জমে ওঠে। আশ পাশের অধিবাসীরা অপরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন

শকুনি লেকের চারপাশে ঘিরে থাকা পিচঢালা পথে ছোট-বড় সবাই প্রতিদিন ভোওে ওসন্ধ্যায় ভ্রমনে বের হন। বর্তমানে লেকটির এই পরিবেশ তারা ক্ষুদ্ধ। তীর সংরক্ষনের ব্যবস্থা সহ চারপাশের রাস্তাটি সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ব্যবহার ও যানবাহন চলাচল সীমিতরেখে স্বাস্থ্য সচেতন ও সৌন্দর্য পিপাসুদেও নির্বিঘ্নে চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষেও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন মাদারীপুরবাসী ।

যেভাবে যাবেনঃ-

ঢাকা থেকে মাদারীপুরের দূরত্ব খুব একটা বেশি না। ঢাকার গুলিস্তান কিংবা মাওয়া ফেরিঘাট থেকে প্রতিদিন শত শত বাস মাদারীপুর যায়। মাদারীপুর সদরে পৌঁছানোর পর রিক্সা করে শকুনি লেকে পৌঁছানো যায়।