পোলঘাটার ইটের পুল

1290

মুন্সিগজ্ঞ জেলা প্রাচীন বাংলার গৌরবময় স্থান বিক্রমপুরের অংশ। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের দিক থেকে জেলাটি নিজ মহিমায়া উজ্বল। এ জেলার প্রাচীন নিদর্শনসমূহের সাথে জড়িয়ে আছে হাজারো গৌরব গাঁথা, সুখ-দু:খের নানা উপাখ্যান। তাদের মধ্যে অন্যতম একটি হল মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের পোলঘাটার ইটের পুল। ইট ও সুরকি দিয়ে তৈরি এই পুলটি মোগল আমলের অন্যতম আকর্ষণীয় পুরার্কীতি। জেলা শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুলটি সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার মধ্যে বন্ধন তৈরি করে রেখেছে। পুলটির পশ্চিম পাশে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা আর পূর্বপ্রান্তে সদর উপজেলা।

অর্ধবৃত্তের মতো এই পুলটির মাঝখানে নৌ চলাচলের তিনটি স্থান রয়েছে। দুই পাশের দু’টি ছোট আকারের হলেও মাঝেরটি বেশ বড়। কমলাঘাট-দীঘিরপাড় খালের ওপর এই পুলটি নির্মিত। খালটি পদ্মা থেকে ধলেশ্বরী নদীতে যুক্ত।

মীরকাদিম সেতুটি প্রাচীন ও বিলুপ্ত শ্রীবিক্রমপুর মহানগরের সীমানা পরিখা মীরকাদিম খালের উপর পানাম পোলঘাটা গ্রামে অবস্থিত। সেতুটির সঠিক নির্মাণকাল ও নির্মাতা সম্পর্কে জানা যায় না তবে মনে করা হয় এটি নির্মিত হয়েছিল মুঘল আমলে। সেতুটি তিন খিলান বিশিষ্ট ও এটি নির্মাণে চুন-সুড়কি ব্যবহার করা হয়েছিল।

মূল সেতু থেকে ৭ কিলোমিটার দক্ষিণে টঙ্গীবাড়ি ও ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মুন্সিগঞ্জ শহর অবস্থিত। ধুনকাকৃতির মীরকাদিম সেতুটির ৫২.৪২ মিটার লম্বা। বিভিন্ন সময় সেতুটি সংস্কারের ফলে এর আদিরুপ অনেকটাই বিলীন হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।

যেভাবে যাবেনঃ-

ঢাকা থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরত্বে মুন্সিগঞ্জ জেলাটি অবস্থিত। ঢাকার গুলিস্তান হতে কয়েকটি কোম্পানির মিনিবাস ছেড়ে যায় এই জেলার উদ্দেশ্যে। পুলটি জেলা শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়ায় মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে অটোরিকশা করে পুলের কাছে যাওয়া যায়।