পাগলা মসজিদ

1968

ঢাকা বিভাগের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহর হলো কিশোরগঞ্জ। রাজনীতি, সাংস্কৃতি, অর্থনীতি ও শিক্ষার দিক দিয়ে সমৃদ্ধ এই কিশোরগঞ্জ জেলা। শুধু প্রাকৃতিক সুন্দর্যই নয়, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী ও দর্শনীয় স্থানের জন্যও আছে যথেষ্ট সুনাম। কিশোরগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হল “পাগলা মসজিদ”। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিমে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়াতে এই তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটি অবস্থিত। পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের সমান উঁচু মিনারটি বহুদূর থেকে সহজেই দৃষ্টি কাড়ে।  আধূনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত পাগলা মসজিদটি নানা ধরণের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থাপনা হিসেবে খ্যাত। মসজিদটি শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীর কাছেই নয়, সকল র্ধমাবলমবীর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত। অনেকের বদ্ধমূল বিশ্বাস যে, কেহ সহি নিয়তে এ মসজিদে দান খয়রাত করলে তার ইচ্ছা পূর্ণ হয়।

প্রায় আড়াইশ (২৫০) বছরের পুরনো এই মসজিদটির সঠিক ইতিহাস কারোর জানা নেই। তবে পাগলা মসজিদের ইতিহাস সম্বলিত একটি গ্রন্থ আছে, “জীবনের সোনালী স্মৃতি”। জনশ্রুতি আছে যে, পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে এসে উপস্থিত হন এবং ধীরে ধীরে তাকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর তার সমাধির পাশে পরবর্তীতে এই মসজিদটি গড়ে উঠে। ফলে কালক্রমে মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়।
কিশোরগঞ্জ জেলায় যতগুলো মসজিদ আছে তাঁর মধ্যে “পাগলা মসজিদ”কে সবচেয়ে বেশি পবিত্র ও সম্মানিত মনে করা হয়। জনশ্রুতি আছে, এই মসজিদে যে কেউ পবিত্র নিয়তে কিছু দান-খয়রাত করলে বা নফল নামাজ আদায় করার পর “মানত” করলে মনের আশা পূরণ হয়। এজন্য শত শত মানুষ প্রতিদিন এই মসজিদে আসে। ফলে সাধারণ মানুষ এমন বিশ্বাসের আলোকে পাগলা মসজিদে গরু-খাসি এবং প্রচুর স্বর্ণ অলংকার সহ প্রচুর টাকা দান-খয়রাত করে থাকেন।

যেভাবে যাবেনঃ-

এই মসজিদটি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হারুয়া চৌরাস্তার দিকে অবস্থিত। তাই কিশোরগঞ্জ শহরের যেকোনো স্থান হতে রিক্সা করে মসজিদে পৌঁছানো যায়।