জগদীশ চন্দ্রের পৈতৃক নিবাস

1248

স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম সফল বাঙালি বিজ্ঞানী, যিনি উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে— তা আবিষ্কার করেন। এ ছাড়া তিনি বেতারযন্ত্র আবিষ্কারের স্বপ্নদ্রষ্টাও।

জগদীশ চন্দ্রের পৈতৃক নিবাস ছিলো ঢাকার অদূরে তৎকালীন বিক্রমপুরের রাঢ়িখালে, যা বর্তমানে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার অন্তর্গত। বিজ্ঞানীর পৈতৃক নিবাসের ত্রিশ একর জায়গায় তার নামে নির্মাণ করা হয়েছে কলেজ ও কমপ্লেক্স।ঢাকা থেকে দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। বাড়িটিকে প্রকৃতির ছোঁয়ায় সাজানো হয়েছে। যেখানে রয়েছে প্রাণী ও পাখির ম্যুরাল, কৃত্রিম পাহাড়-ঝরনা এবং সিঁড়ি বাঁধানো সুবিশাল পুকুর। আরও রয়েছে বিশ্রাম নেওয়ার ত্রিকোণাকৃতির ঘর। রয়েছে জাদুঘর। একে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর স্মৃতি সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জাদুঘরে জগদীশ চন্দ্র বসুর পোর্ট্রেট, গবেষণাপত্র, হাতে লেখা পাণ্ডুলিপিও রয়েছে। রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তিতে তাঁকে লেখা চিঠি, জগদীশ চন্দ্র বসুর কাছে রবীন্দ্রনাথের লেখা চিঠি। তেল রং দিয়ে আঁকা ১৭টি দুর্লভ ছবিও রয়েছে জাদুঘরে।

কমপ্লেক্সের আকর্ষণীয় দিক হলো, এর প্রাকৃতিক পরিবেশ। প্রবেশ করতেই শান্ত-শীতল পরিবেশে মনটা জুড়িয়ে আসে। ছোট পরিসরের এ কমপ্লেক্সে রয়েছে একশোজনের জন্য পিকনিকের ব্যবস্থা। নাগরিক কায়ক্লেশ থেকে মুক্তি খুঁজে পেতে ঢাকা থেকে ৩৫ কিমি দূরের এ স্থানটি হতে পারে বেড়ানোর জন্য ভালো একটি জায়গা।

জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়িটি প্রায় ৩০ একর জমিতে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে তাঁর কলেজ ও কমপ্লেক্স। জীবিত অবস্থায় তিনি পুরো জমি দান করে যান। সেখানে ১৯২১ সালে সুরুজ বালা সাহা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে ১৯৯১ সালে নাম পরিবর্তন করে স্যার জগদীশ ইনস্টিটিউশন ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর একই স্থানে ২০১১ সালে জগদীশ চন্দ্র বসু কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। ৩০ একরের সব কিছু পরিচালিত হচ্ছে জগদীশ ইনস্টিটিউশনের উদ্যোগে। এ ছাড়া জাদুঘরে রয়েছে রয়্যাল সোসাইটিতে দেওয়া জগদীশ চন্দ্র বসুর বক্তৃতার কপি এবং নানা ধরনের দুর্লভ জিনিসপত্র।

যেভাবে যাবেনঃ-

ঢাকার গুলিস্তান কিংবা যাত্রাবাড়ি থেকে মাওয়াগামী বাসে উঠে শ্রীনগর বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। বাসস্ট্যান্ডে নেমে অটোরিকশা, ভ্যান কিংবা অন্য যেকোনো পরিবহনে করে চলে যাওয়া যাবে রাঢ়িখালে স্যার জগদীশ চন্দ্রের পৈতৃক বাড়ি।