ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান

1794

ভাওয়াল গড় সুন্দরবনের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সুপ্রাচীনকালের বিশাল গজারি বন।
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানসহ প্রায় দেড় শতাধিক স্পট ও রিজর্ট পয়েন্ট গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ২০৩ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটের অধীনে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশ ঘেঁসে কালোত্তীর্ণ কোনো চিত্রশিল্পীর ল্যান্ডস্ক্যাপে আঁকা অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্যপটের মতো ঘন গজারি বনবেষ্টিত পরিবেশে নিয়ে গড়ে উঠেছে ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক। এর অভ্যন্তরে বিভিন্ন পিকনিক স্পট এবং অবকাশ যাপন কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি মালিকানাধীন বিভিন্ন শুটিং ও পিকনিক স্পট গড়ে উঠেছে।

এই উদ্যানটি রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর জেলার গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন (১৯৭৪) অনুযায়ী ৫,০২২ হেক্টর জায়গা জুড়ে পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের আদলে অভয়ারণ্যের ছাঁচে ভাওয়াল শালবনে এই উদ্যান গড়ে তোলে। ১৯৮২ সালের আগে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত হয়নি। একটি হিসাব অনুযায়ী, ভাওয়াল গড়ে ৬৪ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে যার মধ্যে ৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৯ প্রজাতির সরীসৃপ, ১০ প্রজাতির উভচর ও ৩৯ প্রজাতির পাখি রয়েছে। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান মূলত ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি। এ বনে ২২১ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে যার মধ্যে ২৪ প্রজাতির লতা, ২৭ প্রজাতির তৃণ, ৩ প্রজাতির পামজাতীয় বৃক্ষ, ১০৫ প্রজাতির ঔষধি, ১৯ প্রজাতির গুল্ম, ৪৩ প্রজাতির বৃক্ষ।

যেভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে সরাসরি ময়মনসিংহগামী যেকোন বাসে চেপে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে পৌঁছানো যায়। তবে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানগামী বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা আছে। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের দুরত্ত মাত্র ১৩ কিলোমিটার।