বাংলার তাজমহল

1343

তাজমহল হল মোঘল শ্বাসন আমলে নির্মিত একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। মোঘল সম্রাট শাহজাহান তার প্রিয়তমা স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রিয়তমা স্ত্রীর স্মৃতি রক্ষা করার জন্য এই স্থাপনাটি তৈরি করেন। ভারতের আগ্রায় এই মুঘল নিদর্শন স্থাপনাটি অবস্থিত। বিশ্বের প্রাচীন সপ্তাশ্চর্য আগ্রার তাজমহলের আদলে বাংলাদেশের সোনারগাঁয়ের পেরাব গ্রামে নির্মিত হয় অনুপমশৈলীর স্থাপত্যে বিশ্বের ২য় ‘বাংলার তাজমহল’। এটি প্রকৃত তাজমহলের হুবহু নকল বা রেপ্লিকা। বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক,প্রযোজক এবং মুক্তিযোধ্যা আহসানউল্লা মনি নিজস্ব অর্থে পেরাব গ্রামে নিজ বাড়িতে ১২ বিঘা জমির ওপর তাজমহলটি নির্মাণ করেন। তার উদ্দ্যেশ ছিল তার দেশের দরিদ্র মানুষ যাদের ভারত গিয়ে প্রকৃত নিদর্শন দেখার সামর্থ নেই তারা যেন তাজমহল দেখার স্বপ্ন পূরন করতে পারেন নিজের দেশে থেকেই। ২০০৮ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়

বাংলার তাজমহল তৈরী করতে মাত্র ৫ বছর এবং ৫কোটি ৮০ লক্ষ্য টাকা খরচ হয়ে। মনি দাবি করেছেন তিনি মার্বেল পাথর  আমদানি করেছেন ইতালী থেকে, হীরা আমদানি করেছেন বেলজিয়াম থেকে এবং প্রায় ১৬০ কিলোগ্রাম ব্রোঞ্জ আমদানি করেছেন গম্বুজের জন্য। যদিও কিছু মানুষ দাবী করেন রেপ্লিকাটি সম্পূর্ন নয় এবং দাবিকৃত উপকরন দিয়ে তৈরী করা হয়নি।

যেভাবে যাবেনঃ-

ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের পেরাবো এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা মু্ক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মণি গড়ে তুলেছেন বাংলার তাজমহল। এই তাজমহল দেখতে আপনাকে যেতে হবে সোনারগাঁয়ের পেরাবো গ্রামে। প্রবেশ ফি ৫০ টাকা। সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে অথবা গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র যাতায়াতের জন্য লোকাল ও স্পেশাল বাস আছে। ভাড়া বিশ থেকে ত্রিশ টাকা। প্রথমে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড হয়ে নারায়ণগঞ্জ যেতে হবে। এরপর নারায়ণগঞ্জ থেকে পেরাবো গ্রামে যেতে হবে।