বাংলাদেশ বিমানের হজ্জ-ফ্লাইট পরিচালনা শুরু

1120

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চলতি মৌসুমের প্রথম হজ্জ-ফ্লাইট বিজি-৩০০১ আগামী ০৪ জুলাই’ ২০১৯ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ০৭:১৫ মিনিটে ৪১৯ জন হজ্জ-যাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যাবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মো: মাহবুব আলী ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী ফ্লাইটের হজ্জ-যাত্রীদের জেদ্দায় গমনের উদ্দেশ্যে বিদায় জানাবেন। একই দিনে হজ্জ-ফ্লাইট বিজি-৩১০১ সকাল ১১:১৫ মিনিটে, বিজি-৩২০১ বিকাল ১৫:১৫ টায়, বিজি-৩৩০১ রাত ১৯:১৫ টায় এবং শিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত ২০:১৫ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে। নির্ধারিত সময়ে, নির্বিঘ্নে হজ্জ-ফ্লাইট পরিচালনার সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকেও এবছর যথাক্রমে ১৯ টি ও ০৩টি হজ্জ-ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ থেকে এবছর প্রায় ১,২৭,১৯৮ জন হজ্জ-যাত্রী পবিত্র হজ্জব্রত পালনে সৌদি আরব যাবেন। এবছর হজ্জ-ফ্লাইট ও শিডিউল ফ্লাইটে বিমানে যাবেন মোট ৬৩,৫৯৯ জন হজ্জ-যাত্রী, এর মধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭,১৯৮ ব্যালটি অবশিষ্ট ৫৬,৪০১ নন-ব্যালটি হজ্জ যাত্রী যাবেন বেসরকারী ব্যবস্থাপনায়। এ বছর হজ্জ-যাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পরিবহনের জন্য বিমানের ০৪টি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটেও হজ্জ-যাত্রীরা পবিত্র ভূমি জেদ্দায় যাবেন। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়নকাল হবে আনুমানিক ৭ ঘন্টা।

দুই মাস ব্যাপী হজ্জ-ফ্লাইট পরিচালনায় শিডিউল ফ্লাইটসহ মোট ৩৬৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে, যার মধ্যে ৩০৪ ‘ডেডিকেটেড’ এবং ৬১টি শিডিউল ফ্লাইট। ০৪ জুলাই থেকে ০৫ আগষ্ট পর্যন্ত ‘প্রি-হজ্জ-এ মোট ১৮৯ টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে  (ডেডিকেটেড-১৫৭ এবং শিডিউল ৩২)। পোস্ট-হজ্জে ১৪৭ টি ফ্লাইট চলবে ১৭ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (ডেডিকেটেড-১৪৭ এবং শিডিউল ২৯) এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মদিনা ১৮ টি ও মদিনা থেকে বাংলাদেশে ১৫ টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। হজ্জ-ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-জেদ্দা উভয় স্থানেই বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করেছে।

প্রথমবারের মতো এবছর কিছু ফ্লাইটের জেদ্দা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঢাকা থেকেই সম্পন্ন করা হবে। এ উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের একটি ইমেগ্রেশন টিম ঢাকায় অবস্থান করবে। এবছর বিমান হজ্ব-যাত্রীদের উড়োজাহাজের সামনের অপেক্ষাকৃত বড় ও আরামদায়ক নিশ্চিত আসন নেওয়ার ক্ষেত্রে ওয়ানওয়ে-তে ১০০ ডলার বা সমপরিমাণ টাকা এবং রির্টান যাত্রা (যাওয়া-আসা) ২০০ ডলার বা সমপরিমাণ টাকার বিধান রেখেছে।এছাড়া হজ্ব-যাত্রীদের টিকেট ক্রয় করার পর যাত্রার তারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যাত্রার ২৪ ঘন্টা পূর্বে ২০০ মার্কিন ডলার এবং যাত্রার ২৪ ঘন্টার মধ্যে যাত্রা পরিবর্তনের জন্য ৩০০ মার্কিন ডলার বা সমপরিমান বাড়তি মাশুল আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নির্ধারিত ফ্লাইটে না গেলে উক্ত টিকেটের অর্থ ফেরতযোগ্য হবেনা। বিমান কর্তৃক পরিচালিত ডেডিকেটেড হজ্জ-ফ্লাইটসমুহের চেক-ইন, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা প্রতিবারের ন্যায় এবারও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনা হজ্জ ক্যাম্পেই সম্পন্ন করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এবছর সৌদী সরকার নির্ধারিত বরাদ্দকৃত স্লটের বাইরে অতিরিক্ত কোন ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি প্রদান করবেনা বলে অবহিত করেছে

প্রত্যেক হজ্জ-যাত্রী (Adult and Child) বিনামূল্যে সর্বাধিক ২(দুই) পিস ৪৬ (ছেচল্লিশ) কেজি মালামাল বিমানে এবং কেবিন ব্যাগেজে ০৭ (সাত) কেজি মালামাল সংগে নিতে পারবেন। কোন অবস্থাতেই প্রতি প্রিস ব্যাগেজ এর ওজন ২৩ (তেইশ) কেজির অধিক হবেনা। প্রত্যেক হজ্জযাত্রীর জন্য ০৫(পাঁচ) লিটার জমজমের পানি ঢাকা/চট্টগ্রাম/সিলেট নিয়ে আসা হবে এবং প্রত্যেক সম্মাণিত হাজীদেরকে ঢাকা/চট্টগ্রাম/সিলেট ফেরৎ আসার পর তা’ প্রদান করা হবে। কোন অবস্থাতেই সম্মাণিত হাজীগণ সাথে করে বিমানে পানি বহন করতে পারবেন না।

যে কোন ধারালো বস্তু যেমন-ছুরি, কাঁচি, নেইল কাটার, ধাতব নির্মিত দাঁত খিলন, কান পরিস্কারক, তাবিজ ও গ্যাস জাতীয় বস্তু যেমন এ্যারোসল এবং ১০০ (এম এল)-এর বেশী তরল পদার্থ হ্যান্ড ব্যাগেজে বহন করা যাবে না এবং কোন প্রকার খাদ্য সামগ্রী সংগে নেওয়া যাবে না। ব্যাগেজ স্যুটকেস অথবা ট্রলিব্যাগ হতে হবে। যে কোন অবস্থায় গোলাকৃত, দড়িবাঁধা ব্যাগ ইত্যাদি বিভিন্ন আকৃতির ব্যাগেজ গ্রহণযোগ্য হবেনা।

১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ১০ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৪৪ জন হাজী হজ্জ-পালনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর সেবা গ্রহণ করেছেন। পবিত্র হজ্জের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি সর্বাঙ্গ-সুন্দর হজ্জ কার্যক্রম পরিচালনায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ২০১৯ সালের হজ্জ-কার্যক্রম সফল করে তুলতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রিয় দেশবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছে।

বাংলাদেশের এই সম্ভাবনাময় ভ্রমণ কিংবা পর্যটন খাতের সাথে সম্পর্কিত সেবা সমূহ নিয়া অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাজ করে। সে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মতো “ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ” একটি ভ্রমণ বিষয়ক সেবা প্রদানকারী সংস্থা। আমরা মূলত ভ্রমণ সংরান্ত সেবা সমূহ নিয়া কাজ করি। দীর্ঘদিন ধরে নিরঙ্কুশ ভাবে সকল প্রকার পর্যটক কিংবা ভ্রমণ পিয়াসু মানুষদের ভ্রমণ বিষয়ে বিভিন্ন সেবা এবং পরিশেবাদি প্রদান করার মধ্য দিয়ে আজ আমরা বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ট্র্যাভেল বিষয়ক সেবা প্রদান কারী সংস্থার সম্মান অর্জন করতে পেরেছি। আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক অবস্থানে নিয়ে যেতে ছাই এবং আমরা সেই লিক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ্জ-ফ্লাইট সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য এবং যেকোনো সেবা পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুণ।

ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড  বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড

রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,

হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,

ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।

মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯০– ৯১